ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোঃ রফিকুল ইসলাম সবুজ নামে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়েছেন মোঃ নূরে আলম নামে এক ইউপি মেম্বার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম সবুজ। এ ঘটনায় পুলিশ নুরে আলম মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেল ৩ টায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের খারকোট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হিসেবে এলাকায় প্রচার-প্রচারণা করছেন যুবলীগ নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম সবুজ। এতে ক্ষুব্ধ ঐ ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নুরে আলম। এ নিয়ে কিছুদিন আগে নুরে আলম মেম্বার ও সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম সবুজের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সবুজ খারকোট গ্রাম থেকে দাওয়াত খেয়ে একা কর্নেল বাজার আসার পথে তার উপর অতর্কিত হামলা করে নুরে আলম মেম্বার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। হামলাকারীরা সবুজের সারা শরীরে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এতে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম সবুজের বাম হাতের তিনটি আঙুল ৭০ ভাগ কেটে যায়। এক পর্যায়ে একজন হামলাকারী সবুজকে শুইয়ে গলায় কিরিস দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করলে একই ইউপির তুলাইশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু কাউছার ভূইয়া ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে সবুজকে প্রানে বাঁচান। পরে আহত যুবলীগ নেতা সবুজকে জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। বর্তমানে সে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত নুরে আলম মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply